ওয়েভার হলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অধিকার ত্যাগ করা বা এমন কোন কার্যত্যাগ করা যা প্রমাণ করে কোন আইনগত অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে। যে জিনিসে কোন ব্যক্তির স্বত্বের অধিকার আছে তেমন কিছু পরিত্যাগ করার সম্মতি হলো ওয়েভার। এটা হলো কোন আইনগত অধিকার ত্যাগের বা অধিকার দাবী করার চুক্তি। ওয়েভার এর অত্যবশ্যাক উপাদান হলো এস্টোপেল এবং যেখানে কোন এস্টোপেল নেই সেখানে কোন ওয়েভার নেই। এস্টোপেল কোন বিরোধের বিষয় নয় কিন্তু ওয়েভার যেহেতু কোন অধিকার পরিত্যাগের বা অধিকার দাবি না করার চুক্তি তাই ওয়েভার বিরোধের বিষয় হতে পারে , ওয়েভার মোকদ্দমার কারণ হতে পারে। এস্টোপেল হলো – যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ঘোষণা দ্বারা বা কোন কাজ দ্বারা বা কোন কাজ থেকে বিরতি দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন কিছু সত্য বা মিথ্যা বলে বিশ্বাস করিয়েছেন এবং সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করতে দিয়েছেন তখন তাদের মধ্যে বা তাদের প্রতিনিধির মধ্যে কোন মামলায় প্রথম ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি উক্ত বিষয়ের সত্যতা অস্বীকার করতে পারবেন না ,এটিই হলো এস্টোপেল ।
১. যে ব্যক্তি ওয়েভার মুলে তার অধিকার ত্যাগ করে বা অধিকার দাবি করবে না বলে ঘোষণা দেয়, তার বিরুদ্ধে ওয়েভার প্রয়োগ করা যাবে যদি না তার অধিকার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে।
২. ওয়েভার অবশ্যই স্বেচ্ছাকৃত হতে হবে।
৩. ওয়েভার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই দুইটি পক্ষ থাকবে। এক পক্ষ পরিত্যাগ করবে এবং অন্য পক্ষ এইরুপ ওয়েভার এর মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবে।
৪. ওয়েভার এর ক্ষেত্রে এস্টোপেল থাকতে হবে।
পদমপদ সুগার মিলস বনাম স্টেট অব উত্তর প্রদেশ এবং অন্যান্য
এই মামলায় বলা হয়েছে ওয়েভার অর্থ হলো কোন অধিকার পরিত্যাগ করা এবং এটা ব্যক্ত এবং অব্যক্ত হতে পারে। কিন্তু ওয়েভারের মৌলিক শর্ত হলো এটা হবে জেনে শুনে স্বেচ্ছামূলক কাজ। কোন ওয়েভার হয়েছে বলে গণ্য হবে না, যদি না যে ব্যক্তিকে অধিকার পরিত্যাগের কথা বলা হয়েছে তর্কে তার অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি জানানো না হয় এবং সে ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকার পরিত্যাগ না করো।
ফিরে এ্যালোস কর্পোরেশন, এলটিডি বনাম ইনিয়ন অব ইণ্ডিয়া
এই মামলায় বাদীর পূর্বপুরুষ বিবাদীকে বিরোধীয় সম্পত্তির ভাড়াটিয়া হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল । লীজটি প্রতি ১১ মাস পর পর নবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু এটা কখনো করা হয় নি। বাদীর পূর্বপুরুষ মারা যাওয়ার পর ভাড়াটিয়া ভাড়া দেওনা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাদীর পূর্বপুরুষ ভাড়াটিয়াকে চিরস্থায়ীভাবে উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করার জন্য সম্মতি দিয়েছিল তার কোন প্রমাণ ছিল না। আদালত সিদ্ধান্ত দেয় যে, বাদী তার স্বত্ব পরিত্যাগের কোন সম্মতি দেয়নি এবং বাদী ওয়েভার দ্বারা বাধিত না ।
ডাওন্সস ব্যাংক লি. বনাম নিপ্পন মেনকাও কাবুসিকী কাইশা, মামলায় প্রিভি
কাউন্সিল এস্টোপেল এবং ওয়েভারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করেছে।
এস্টোপেল হলো সাক্ষ্য আইনের একটি নীতি যেটা ওয়েভারের মাধ্যমে যে অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয় তা ফেরত পেতে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ওয়েভার কোন সাক্ষ্য নয় বরং কোন অধিকার বা দাবী ত্যাগ করা
হয়েছে কিনা তা এর বিবেচ্য বিষয়।
যেহেতু এস্টোপেল সাক্ষ্য আইনের একটি নিয়ম মাত্র, তাই এস্টোপলের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমার কোন কারণ উৎপত্তি হয় না।
ওয়েভার হলো ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অধিকার ত্যাগ করা বা এমন কোন কার্যত্যাগ করা যা প্রমাণ করে কোন আইনগত অধিকার ত্যাগ করা হয়েছে। যে জিনিসে কোন ব্যক্তির স্বত্বের অধিকার আছে তেমন কিছু পরিত্যাগ করার সম্মতি হলো ওয়েভার। এস্টোপেল হলো – যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ঘোষণা দ্বারা বা কোন কাজ দ্বারা বা কোন কাজ থেকে বিরতি দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন কিছু সত্য বা মিথ্যা বলে বিশ্বাস করিয়েছেন এবং সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করতে দিয়েছেন তখন তাদের মধ্যে বা তাদের প্রতিনিধির মধ্যে কোন মামলায় প্রথম ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি উক্ত বিষয়ের সত্যতা অস্বীকার করতে পারবেন না ,এটিই হলো এস্টোপেল ।
ধন্যবাদান্তে,
জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম
মোবাইলঃ 01886012863
ইমেইলঃ juristcommunication@gmail.com