কোর্ট অব সেটেলমেন্ট- পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করে । বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও বিলিব্যবস্থা) আদেশ, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ১৬ নং আদেশ) জারি করেন এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তির সংজ্ঞার আওতাভুক্ত সম্পত্তি সমূহের নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও বিলি ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণের বিধান রাখেন। এজাতীয় সম্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং এসব বিরোধ চিরতরে দূর করার জন্য সরকার পরিত্যক্ত ভবন (সম্পূরক বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর অধীনে সকল পরিত্যক্ত ভবনের একটি তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করার এবং এসব সম্পত্তির উপর দাবিদাওয়া কোর্ট অব সেটেলমেন্ট নামে একটি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করেন।
কোর্ট অব সেটেলমেন্ট একজন চেয়ারম্যান ও দুজন সদস্য নিয়ে সরকার কর্তৃক গঠিত। সুপ্রীমকোর্টের বিচারক বা অতিরিক্ত বিচারক পদে আছেন বা ছিলেন কিংবা এই পদ ধারণ করার যোগ্যতা রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। দুই সদস্যের একজনকে অতিরিক্ত জেলা জজের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন অফিসার যারা আছেন বা ছিলেন তাদের মধ্য থেকে এবং অপর সদস্যকে সরকারের উপসচিবের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন অফিসার যারা আছেন বা ছিলেন তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হয়। কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা থেকে তার সম্পত্তি বাদ দেয়ার জন্য কোর্ট অব সেটেলমেন্টের কাছে আবেদন করলে কোর্ট সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বক্তব্য শুনে এবং উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ বিচার বিবেচনা করে আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। কোর্ট অব সেটেলমেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আপীল করা যায় না। তবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কোর্ট অব সেটেলমেন্টের সিদ্ধান্তের আইনগত বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হবার জন্য মামলার নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখার উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগের কাছে রীট অব সার্টিওয়ারি ইস্যুর আবেদন পেশ করতে পারেন।
কোর্ট অব সেটেলমেন্ট- পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করে এবং দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করে। অত্র আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়েরের কোন সুযোগ নেই।