ঢাকার ইতিহাস আর ঐতিহ্য সবই মিশে আছে বুড়িগঙ্গা নদী কে ঘিড়ে। অসেচতন আর স্বার্থান্বেষী মহল ক্রমেই বুড়িগঙ্গাকে করে চলেছে আরো বিষাক্ত। এক সময় এই নদীকে ঘিড়েই ছিল ঢাকার প্রান। ব্যবসা বানিজ্য আর বিদেশ বনিকের আগমন ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। অথচ শত বছর পেড়িয়ে গেলেও এই নদীর সৌন্দর্য্য রক্ষা এর দুষন ঠেকাতে কোন শাষকই কোন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রাখেনি। আর যার ফলশ্রুতিতে আজও চরম অযত্ন আর অবহেলায় ক্রমেই কালো পানিতে বিষাক্ত হয়ে চলেছে আমাদের বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গাকে এই সংকট আর দুষন থেকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বর্তমান সরকার হাতে নিয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। যার দৃশ্যমান কিছু অগ্রগতি আমরা বেশ কয়েকমাস ধরে দেখে আসছি। নদীর পাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। টিনসেড থেকে শুরূ করে সাত আট তলা দালান কেউই ছাড় পানি। অবৈধ সকল স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সেই সাথে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য্য বর্ধনে নেওয়া হয়েছে নানা প্রকল্প। গত ৬ ই জুলাই শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীর চড়ে খোলামোড়া ঘাটে বিআইডব্লিউটির একটি প্রকল্পের উদ্ধোধনী অনুস্ঠানে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী জানান, টেমস নদী দেখার জন্য এখন আর লন্ডন যেতে হবে না। বুড়িগঙ্গা নদী কে গড়ে তোলা হবে টেমস এর আদলে। নদীর দু্ই পাড়ে নদীবন্দর এলাকায় তিন হাজার ৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার, রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত নদীর পাড়ে হাঁটাচলার পথসহ আনুষঙ্গিক নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া আরেকটি প্রকল্পের আওতায় এই চারটি নদ-নদীর তীরে ৫২ কিলোমিটার হাঁটাপথ, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার, তিনটি ইকোপার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০টি আরসিসি সিঁড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।