1. admin@adalatnews.com : Admin :
  2. juristcommunication@gmail.com : muradjc :
তালাক কাকে বলে ? তালাক কত প্রকার ? তালাক দেওয়ার নিয়ম কি ? - আদালত নিউজ
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

তালাক কাকে বলে ? তালাক কত প্রকার ? তালাক দেওয়ার নিয়ম কি ?

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ৫৭৪ Time View
তালাক কাকে বলে
তালাক কাকে বলে

তালাক শব্দের অর্থ ‘বিচ্ছিন্ন’,ত্যাগ করা , ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদকে তালাক বলা হয় । স্বামী সর্বাবস্থায় স্ত্রী কে তালাক দিতে পারেন । স্ত্রী শুধুমাত্র তখনই তালাক দিতে পারবেন, বিয়ের কাবিননামা বা নিকাহনামার ১৮ নং কলামে লেখা আছে যে স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করেছে কি-না, যদি ক্ষমতা অর্পণ করেন তা হলে স্ত্রী তার স্বামী কে তালাক দিতে পারবেন ।

পদ্ধতিগত দিক দিয়ে তালাক তিন প্রকার

(ক) আহসান বা সর্বোত্তম তালাক ।

তালাকে আহসানঃ  তালাকে আহসান তাকে বলে, যে তুহুরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সহবাস, জায়েজ অবস্থা কিংবা গর্ভাবস্থা নেই। উল্লেখিত অবস্থা সমুহ নেই এমন তুহুর অবস্থায় শুধু মাত্র এক তালাক দিয়ে ইদ্দত পূর্ণ হতে দেওয়া। অর্থাৎ তিন তুহুর অতিক্রম করলে তালাকটি কার্যকর হয়ে যায়। এমতাবস্থায় স্ত্রী ইচ্ছা করলে অন্য যে কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে কিংবা তালাক প্রপ্তা স্ত্রী ইচ্ছা করলে এবং স্বামী চাইলে তারা পুনঃ বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে। এই ধরনের তালককে বলা হয় তালাকে আহসান।

(খ) হাসান বা উত্তম তালাক ।

তালাকে হাসানঃ  হাসান তালাক হলো প্রত্যেক তুহুরে একটি করে তালাক দিবে। এই নিয়মে তিন তুহুরে তিন তালাক দেওয়ার নিয়ম কে তালাকে হাসান বলে। তালাকে হাসান দিলে অর্থাৎ তিন তুহুরে তিন তালেক দিলে সেই স্ত্রী তার স্বামীর জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। সে তার স্বামীর নিকট রেজাত বা পূন বিবাহে আসতে পারবেনা। তবে স্ত্রীর যদি অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ হয় এবং দ্বিতীয় স্বামী যদি কোন দৈবাত কারণে তালাক দেয় অধবা মৃত্যু বরণ করে তবে ইচ্ছা করলে পূর্বের স্বামীর সহিত বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হতে পারবে।

(গ) বিদ’ই বা শরিয়া বিরূদ্ধ তালাক ।

তালাকে বিদইঃ বিদায়াত তালাক হলো কোন ব্যক্তি একসাথে তিন তালাক দিয়ে দেওয়া বা হায়েয অবস্থায় তিন তালাক দেওয়া অথবা যে তুহুরে সহবাস করেছে সেই তুহুরে তিন তালাক দেওয়া। উল্লেখিত যে কোন প্রকারে তালাক দেওয়া হউক না কেন তালাকদাতা গুনাহগার হবে। গর্ভাবস্থা প্রকাশ পাইনি এমন সন্দেহ জনক অবস্থায় তিন তালাক প্রদান করাও বিদায়াত বা হারাম। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ তালাক অনুষ্টিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইন অথবা শরীয়ত প্রবর্তিত পদ্ধতি কোনটাই অনুসরণ করা হচ্ছেনা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার বা কোন গন্য মান্য ব্যক্তি তালাকের নোটিশ সহি বা স্বাক্ষর করলেই তালাক হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা তালাকের ঘোষনা দেন না, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় তালাকের নোটিশে লিখা হয় এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক ও বাইন তালাক।

ক্ষমতা বা এখতিয়ার গত দিক দিয়ে তালাক পাঁচ প্রকার

(১) তালাকে সুন্নাত ।

তালাক-উল-সুন্নত হল মুসলমান সমাজে বিচ্ছেদের আসল পদ্ধতি বা নিয়ম । এই নিয়মে স্বামী একবার তালাক উচ্চারণ করলে স্ত্রীকে তিনমাসের ইদ্দত পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয় । অর্থাৎ তিনটি মাসিক চক্র অতিক্রম করতে হয় । এই সময়ের মধ্যে স্বামী চাইলে স্ত্রীর সঙ্গে মধ্যস্থতা করে মিটমাট করে নিতে পারেন । তিনমাসের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে তালাক বৈধ হয় না । যদি এই তিনমাস সময়ের মধ্যে স্বামী সম্পর্ক ঠিক না করেন, তাহলে পুরোপুরি বিচ্ছেদ হয়ে যায়  ।


(২) তালাকে বাদী  ।

(৩) তালাকে তাফবীজ ।

(৪) তালাকে মোবারত ।

(৫) খোলা তালাক ।

কার্যকর হওয়ার দিক দিয়ে তালাক প্রধানত দুই প্রকার

(১) তালাকে রেজী ।

(২) তালাকে বাইন ।

তালাকে বাইন আবার দুই প্রকার

(১) বাইনে সগির ।

(২) বাইনে কবির ।

মর্যাদা ও অবস্থানের দিক থেকে তালাক চার প্রকার

(১)হারাম

(২)মাকরুহ

(৩)মুস্তাহাব

(৪)ওয়াজিব

তালাক দেওয়ার নিয়ম

অনেকেই মনে করেন তিনবার ‘তালাক’ উচ্চারণ করলেই তালাক কার্যকর হয়ে যায়। তবে বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

অনেক আশা-স্বপ্ন নিয়ে দুজন মানুষ একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। সেই পথচলা সবসময় মসৃণ হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই দুজনের সম্পর্ক এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়ায় যাতে বিচ্ছেদই হয়ে উঠে একমাত্র সমাধান।

কেউ যদি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স বা তালাক দিতে চায় তবে মুখে ‘তালাক’ বলার পর এই সংক্রান্ত লিখিত নোটিশও দিতে হবে।

তালাক কার্যকর করার ক্ষেত্রে মুখে উচ্চারণের পাশাপাশি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত নোটিশ পাঠাতে হয়।

চেয়ারম্যান বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে— ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা প্রশাসক, সেনানিবাস এলাকায় এই অধ্যাদেশের অধীনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারের নিয়োগ করা

ব্যক্তি, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশনের স্থগিত (suspended) থাকলে অধ্যাদেশের অধীনে চেয়ারম্যানের কাজ সম্পাদনকারী সরকারের নিয়োগ করা ব্যক্তি।

চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো তালাক নোটিশের একটি অনুলিপি তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পাঠাতে হবে। তারপর এই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দুই পক্ষের পুনঃমিলনের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান সালিশি কাউন্সিল তৈরি করে দুই পক্ষের পুনঃমিলনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

যদি দুই পক্ষের মধ্যে কোনোভাবেই পুনঃমিলন সম্ভব না হয় তবে তালাক নোটিশ প্রদানের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।

এই ৯০ দিন পর্যন্ত স্ত্রীর ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচাপাতি বহন করবেন স্বামী ।

তালাকের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, যদি তালাক দেওয়ার সময় স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে থাকে তবে তার গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না । মুসলিম আইনে স্ত্রীর তালাক দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই, যদি না কাবিননামার ১৮তম কলামে স্ত্রীর তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া থাকে ।

ধন্যবাদান্তে,

জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম

মোবাইলঃ 01886012863

ইমেইলঃ juristcommunication@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

ক্যাটাগরি

© All rights reserved © 2022 AdalatNews

Developed By AdalatNews