1. admin@adalatnews.com : Admin :
  2. juristcommunication@gmail.com : muradjc :
দণ্ডবিধি (Penal Code) ১৮৬০ অনুযায়ী যে সকল অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। - আদালত নিউজ
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন

দণ্ডবিধি (Penal Code) ১৮৬০ অনুযায়ী যে সকল অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১
  • ৫৭৪ Time View
Death Sentence in Penal Code
Death Sentence in Penal Code

দণ্ডবিধি (Penal Code) ১৮৬০ অনুযায়ী যে সকল অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে তা নিয়ে আজকের প্রর্বে আলোছনা করা হলো।

মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে ওই রূপ দন্ড যা রাষ্ট্রীয় বা বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে হত্যা কে বোঝায়। মৃত্যুদণ্ড বা প্রাণদণ্ড হল আইনি পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করা। বিশ্বের সকল দেশে কোন না কোন সময় মৃত্যুদন্ড কার্যকর ছিল।বর্তমানে কেবল মাত্র ৫৮ টি দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে । তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ।

বাংলাদেশের দন্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী যে সকল অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড প্রদান করা যায়।

১।ধারা ১২১ (রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ) : এই ধারা মতে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বা উদ্যোগ গ্রহণ করে বা অনুরূপ যুদ্ধে সহায়তা করে তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা যাবে।

২। ধারা ১৩২ (বিদ্রোহে সহায়তা) : এই ধারা মতে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর কোনো কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের জন্য সহায়তা করে এবং এর ফলে বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা যাবে।

৩। ধারা ১৯৪ (মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করাইবার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য প্রদান) : যদি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা হয় এবং সাক্ষ্যদানের ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তাহলে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা যাবে।

৪। ধারা ৩০২ (হত্যা) : যদি কোন ব্যক্তিকে হত্যা বা খুন করা হয় তাহলে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

৫। ধারা ৩০৩ (যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কর্তৃক খুন) : যাবজ্জীবন শাস্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যদি পুনরায় খুনের মতো অপরাধ এর সাথে যুক্ত হয় তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

৬। ধারা ৩০৫ (নাবালক কিংবা উন্মাদ ব্যক্তিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা) : ১৮বছরের কম বয়সী কোন শিশুকে অথবা কোন পাগল বা উন্মাদ বা বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি বা জড়বুদ্ধি সম্পন্ন কোন ব্যক্তি কে আত্মহত্যার অনুষ্ঠানে সহায়তা করলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

৭।ধারা ৩০৭ (যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কর্তৃক হত্যার চেষ্টা) : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কর্তৃক যদি কোন ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করা হয় তবে তাকে মৃত্যুদন্ড শাস্তি প্রদান করা যাবে।

৮। ধারা ৩৬৪ক (১০বছরের কম বয়সের কোনো ব্যক্তিকে অপহরণ বা অপবাহন): যদি ১০বছরের কম বয়সী কোন ব্যক্তিকে গুরুতর আঘাত প্রদান অথবা দাসত্ব করানো অথবা যৌন/কামবাসনা পূরন করার উদ্দেশ্যে অপহরণ বা অপবাহন করা হয় তবে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

৯। ধারা ৩৯৬ (হত্যার সহিদ ডাকাতি) : ৫ বা ততোধিক ব্যক্তি ডাকাতি করার সময় তাদের মধ্যে একজন যদি কাউকে হত্যা করে তবে ডাকাত দলের সকলের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে ফাঁসি দেওয়ার পদ্ধতি:

সাধারণত ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির দুই হাত পেছনের দিকে বাঁধা হয়। এসময় উপস্থিত থাকবেন কারা কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ফাঁসিদার বা জল্লাদ। মঞ্চে তোলার পর আসামির দুই পা বাঁধা হয়। গলায় পরানো হয় ফাঁসির দড়ি। ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে একটি রুমাল থাকবে। রুমালটি হাত থেকে নিচে ফেলে দেয়ার সাথে সাথেই জল্লাদ ফাঁসির লিভারে টান দেন সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসির মঞ্চে আসামির পায়ের নিচের তক্তাটি সরে যায় এবং আসামি শূন্যে ঝুলে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গেলে ফাঁসির দড়ি থেকে নামানোর পর সব শেষে আসামির দুই পায়ের রগ কেটে তার মৃত্যু সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ও কারা কর্তৃপক্ষ।

ধন্যবাদান্তে,

জুরিস্ট কমিউনিকেশন ল ফার্ম

মোবাইলঃ 01886012863

ইমেইলঃ juristcommunication@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

ক্যাটাগরি

© All rights reserved © 2022 AdalatNews

Developed By AdalatNews