বাংলাদেশের বেগবান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং শিল্পায়নের মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশে সরকার। তাই সব জেলায় পরিবেশ আদালত এবং সব বিভাগে পরিবেশ আপিল আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পরিবেশ আদালত আছে। এছাড়া ঢাকায় আছে একটি পরিবেশ আপিল আদালত। ৬৪টি জেলায়ই পরিবেশ আদালত এবং আটটি বিভাগে পরিবেশ আপিল আদালত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পরিবেশ আদালত রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় একটি পরিবেশ আপিল আদালত রয়েছে। অবস্থানগত বিষয়সহ বিভিন্ন কারণে এসব আদালতে মামলার সংখ্যা কম। পরিবেশ আদালতগুলোতে দেড় হাজারের মতো মামলা আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিবেশ দূষণ প্রতিকারে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও বিধিমালা এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারাও এনফোর্সমেন্টে যেতে পারেন, তারা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এক্ষেত্রে একটি আপিল কর্তৃপক্ষও আছেন। একইসঙ্গে পরিবেশ আদালতের মাধ্যমেও দূষণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
এখন পরিবেশ নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও সচেতনতা বেড়েছে, সরকারি দফতরগুলোও আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়। পরিবেশ দূষণ রোধে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজনের তুলনায় কম।
বাংলাদেশে বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পরিবেশ আদালত আছে। এছাড়া ঢাকায় আছে একটি পরিবেশ আপিল আদালত। ৬৪টি জেলায়ই পরিবেশ আদালত এবং আটটি বিভাগে পরিবেশ আপিল আদালত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েচে বলে জানিয়েছেন কতৃপক্ষ।
পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০-এ বলা হয়েছে, যারা দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা ক্ষতিপূরণ চেয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করতে পারবে। এছাড়া মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
একসময় দেশ ছিল কৃষিনির্ভর, এখন দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। শিল্পায়ন যত বেশি হবে দূষণও তত বেশি হবে। সেই দূষণ প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের পরিবেশ আদালত লাগবে। আর যাই হোক মানুষ কিন্তু আদালত ও শাস্তিকে ভয় পায়। এক বছরের জেল হলে সেটাও অনেক প্রভাবে ফেলে।
পরিবেশ আদালত আইনের ৭ (৪) ধারা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শকের লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া কোনো পরিবেশ আদালত পরিবেশ আইনের অধীন কোনো ক্ষতিপূরণের দাবি বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না। শর্ত থাকে যে, কোনো আবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কোনো ক্ষতিপূরণের দাবি গ্রহণের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেননি এবং এ অভিযোগ বা দাবি বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা আছে। তাহলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা মহাপরিচালককে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে লিখিত প্রতিবেদন ছাড়াই সরাসরি ক্ষতিপূরণের দাবি বিচারের জন্য গ্রহণ করতে বা যথাযথ মনে করলে দাবি সম্পর্কে তদন্তের জন্য আদালত নির্দেশ দিতে পারবেন। এ ধারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সরাসরি মামলা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন পরিবেশবাদীরা।