১৯৫০ সালের রাস্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধন করে গঠন করা হয় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল বা ভুমি জরিপ ট্রাইবুনাল। মূলত বিআরএস বা আমরা যাকে বিএস জরিপ বলে থাকি এই জরিপ চুড়ান্তভাবে প্রকাশ হওয়ার পর করনীক ভুলভ্রান্তি ব্যাতীত অন্য যে কোন প্রকার ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধনের জন্য এই ট্রাইবুনালে সবোর্চ্চ ২ বছর সময়ের মধ্যে মামলা দায়ের করে বিএস রেকর্ড সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এই ট্রাইবুনাল গঠন হওয়ার পর থেকে সাড়া দেশব্যাপী রেকর্ড সংখ্যক মামলা দায়ের করা হয়। যা সামাল দেওয়া এই ট্রাইবুনালের পক্ষ্যে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এবং কার্যত এই বিপুল মামলা জট নিয়ে এই ট্রাইবুনাল প্রায় অকেজ হয়ে পড়ে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৪১ টি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭০২ টি মামলা বিচারধীন রয়েছে।
আর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল এর এই মামলা জট এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ১৯৫০ সালের রাস্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন আবারো সংশোধন এর লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করে আইন মন্ত্রনালয়। এবং উক্ত খসড়াকে আরোও যুগোপযোগী ও স্থায়ী করেত অধিকতর যাচাই এর জন্য আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে। উক্তি কমিটির যাচাই বাছাই সমাপ্ত হলেই চুড়ান্ত খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এবং তারপরই এটি সংসদে বিল আকারে উথাপন এর মাধ্যমে নতুন সংশোধিত আইন আকারে পাশ করা হবে। তাই ধারনা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই বাতিল করা হবে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল। এবং এই রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত সকল মামলা স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের দেওয়ানী আদালতেই পরিচালিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল এ মামলা দায়েরের সুযোগ থাকে সবোর্চ্চ ২ বছর পর্যন্ত। কিন্তু অধিকাংশ বাদীর ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা এই ২ বছর তামাদীর সীমা পার হওয়ার পরেই আদালতে আসেন রেকর্ড সংশোধনের জন্য কিন্তু তামাদীকাল অতিক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে দেওয়ানী আদালতেই ঘোসনামূলক মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে রেকর্ডটি ভুল মর্মে আদালত থেকে ডিক্রি নিতে হয়। যার ফলে দেওয়ানী আদালতে এই ধরনের মামলার সংখ্যা একবারেই কম নয়।