২০১৯ সালের সদ্য পাশ হওয়া আইনজীবীদের নিয়ে বর্তমানে সুপ্রীম কোর্ট এর আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এই বিপুল পরিমান আইনজীবীর জন্য বর্তমানে সুপ্রীম কোর্ট এর আইনজীবী সমিতি ও এনেক্স ভবনগুলিতে বসার ব্যবস্থা একপ্রকার নেই বললেই চলে।১৯৪৭ সালে যখন ঢাকা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০ জন। এর পর ১৯৭৪ সালের স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬৫ জনে। বর্তমানে ২০১৯ সালে পাশকৃত আইনজীবীদের নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। অথচ স্বাধীনতার পর সুপ্রীম কোর্ট এর মুল ভবনের সাথে শুধুমাত্র ৪ তলা একটি এনেক্স ভবন করেই চলছে দেশের এই উচ্চতর আদালত। সিনিয়র আইনজীবীরা যারা শুরূতেই যায়গা পেয়েছেন তারা ব্যাতীত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ প্র্যাকটিসরত আইনজীবীদের অনেকেরই চেম্বার এর যায়গা হয়নি। আর নবীন আইনজীবীরা চেম্বার তো দুরে থাক বসার যায়গাটুকু ও নেই তাদের ভাগ্যে। ফলে শেয়ার করে, বা ধার করে অনেকটা সিনিয়র আইনজীবীদের করূনা প্রত্যাশী হয়েই থাকতে হয় অপেক্ষাকৃত নবীন আইনজীবীদেরকে। তাই নবীন প্রবীন সকলের কাছে সুপ্রীম কোর্ট এর আইনজীবীদের জন্য নতুন ভবন নির্মান এখন অপরিহার্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরাই সঠিকভাবে বিচার প্রত্যাশী দেরকে সেবা প্রদান করতে পারছেন না। পেশাগত মান মার্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে প্রত্যেক আইনজীবীর একটা নির্দিস্ট বসার যায়গা থাকাটা খুবই জরূরী।নতুন ভবন নির্মান নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট, জজ কোর্ট এর নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রতি দিলেও নির্বাচনে জয়ী হবার পর এ বিষয়ে কোন উদ্যোগই আজ পর্যন্ত কেউ গ্রহন করেনি। তবে আইনজীবীদের জন্য নতুন একটি ১৫ তলা ভবন নির্মান এবং পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন একটি ভবন নির্মানের জন্য সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী বরাবর বিগত ২০ শে ফেব্রয়ারী ২০১৯ সালে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের অগ্রগতি এখনো জানা যায়নি। তাই প্রশ্ন থেকেই যায় কবে হবে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য নতুন ভবন?।