বাগেরহাট থেকে প্রায় ৭০০ শালিক পাখি আটক অবস্থায় উদ্ধার করে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে আকাশে মুক্ত করা হয়েছে। শনিবার ও রবিবার ভোরে মোল্লাহাট উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট এলাকার কাকা মিয়ার বাড়ি থেকে পাখিগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
প্রথমে কাকা মিয়ার বাড়িতে আটকে রাখা ৫০০ ও পার্শ্ববর্তী আরেক বাড়ি থেকে আরও ২০০ শালিক পাখি মোল্লাহাট থানা পুলিশ উদ্ধার করেন।
এ সময় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি । পরে রবিবার বিকালে মোল্লাহাট থানা ও রাজপাট এলাকার আকাশে শালিক পাখিগুলোকে মুক্ত করে দেয় স্থানীয় ওসি সোমেন দাশ।
স্থানীয়রা জানায়, শিকার করা শত শত শালিক আটকে পাখির খামার গড়ে তুলেছিলেন তোতা মিয়া নামের এক ব্যক্তি । এ অঞ্চলে কেউ শালিক পাখি খায় না। তবে বিভিন্ন হোটেলে কোয়েল বলে এই শালিকের মাংস খাওয়ানো হয়ে থাকে বলে জানায় স্থানীয়রা । শালিক পাখি ময়না ও টিয়া পাখির মতো মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারে তাই এলাকায় অসংখ্য বাড়িতে অনেকেই খাচায় আবদ্ধ রেখে ১টি বা দুটি শালিক পালন করে থাকে। তবে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে তোতা মিয়া খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় শালিক পাখি পাইকারি দরে বিক্রি করতেন।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ওসি সোমেন দাশ বলেন, গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট এলাকার তোতা মিয়ার বাড়িতে অসংখ্য শালিক পাখি আটকে রাখা হয়েছে- এমন গোপন সংবাদ পেয়ে শনিবার ও রবিবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ শালিক উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত পাখি শিকারি তোতা মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, খুলনাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার হওয়া শালিক পাখিগুলোকে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। স্থানীয় মোল্লাহাটের বিল থেকে ওই পাখিগুলোকে ধরে দুটি বাড়িতে বেশ কিছু দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে উদ্ধার করা পাখিগুলোকে রবিবার বিকালে আকাশে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।