1. admin@adalatnews.com : Admin :
  2. juristcommunication@gmail.com : muradjc :
কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট আপীলেট ট্রাইব্যুনাল - আদালত নিউজ
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট আপীলেট ট্রাইব্যুনাল

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২
  • ৫০১ Time View
ভ্যাট আপীলেট ট্রাইব্যুনাল।
ভ্যাট আপীলেট ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা:– অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) বলে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দি কাস্টমস্ এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯৬ অনুযায়ী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১লা অক্টোবর, ১৯৯৫ সালে কার্যক্রম শুরু হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ ও মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর সংশিষ্ট বিধি-বিধান ও নিজস্ব নিয়ম কানুন দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন সত্ত্বা। অর্পিত ক্ষমতা এবং দায়িত্ব পালনের লক্ষে টেকনিক্যাল সদস্য এবং জুডিশিয়াল সদস্যের সমন্বয়ে আপীলাত ট্রাইবুনাল গঠিত। প্রতিটি দ্বৈত বেঞ্চ একজন টেকনিক্যাল সদস্য এবং একজন জুডিশিয়াল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত যারা যৌথভাবে রায় প্রদান করেন। সাংগঠনিক কাঠামো মোতাবেক ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চ ০৪টি। তন্মধ্যে ০4টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে এবং বিচারিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আপীলাত ট্রাইবুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) মোতাবেক একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য [শুল্ক আইনের ধারা, 196 C (8)] ।

যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি; কমিশনার, কমিশনার (আপীল), বা তার সমমর্যাদার কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা কাস্টমস কর্মকর্তার কাস্টমস আইন বা মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন প্রদও কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করতে পারবেন। কোন সিদ্ধান্ত বাআদেশ প্রদান বা আদেশ জারীর ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করতে হয় । ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়ের করা হয়।

কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট আপীলেট ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়েরের নিয়ম

মামলা দায়েরের জন্য আপীলকারীর করণীয় ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি

কমিশনার, কমিশনার (আপীল) বা সমমর্যাদার কর্মকর্তা যদি আপীলকারী হন

1) ফরম-1 এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন পত্র।

2) আপিল আবেদনের আর্জির কপি (3সেট ফটোকপিসহ)

3) কমিশনার (আপীল)/সভাপতি, রিভিউ কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের কপি।

যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি আপীলকারী হন

1) ফরম-1 এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন পত্র।

2) 30 (ত্রিশ) টাকা মূল্যমানের কোর্ট ফিসহ আপীল আবেদনের আর্জির কপি (3সেট ফটোকপিসহ)

3) 15 (পনের) টাকা মূল্যমানের কোর্ট ফি সহ কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের কপি।

4) জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।

5) ট্রাইব্যুনালের আপিল ফি বাবদ টি, আর চালানের কপি।

আপীল সংশ্লিষ্ট অর্থট্রাইব্যুনাল আপিল ফি
ভ্যাট/শুল্ক ও সুদ এবং দন্ডের পরিমাণ যদি1 (এক) লক্ষ টাকা বা তার নিম্নে300 (তিনশত) টাকা
1(এক) লক্ষ টাকার অধিক1200 (বারশত) টাকা।

6) মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন পত্রের সত্যায়িত কপি।

7) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, 1969 এর ধারা 194 অনুযায়ী মোট অর্থের 50% নগদে বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হারে (কাস্টমস মামলার ক্ষেত্রে) এবং মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী মোট অর্থের 20% টিআর চালানের কপি।

অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে

8) আটক প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।

9) আটককৃত মালের মূল্য সংক্রান্ত তথ্য।

10) গাড়ী চালাকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি।

11) গাড়ীর ব্লু-বুক এর কপি।

12) গাড়ীর মালিকের পরিচয়পত্র।

13) মালামাল রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধীনে আছে কিনা তার প্রত্যয়নপত্র। তবে সেক্ষেত্রে দি কাস্টমস এ্যাক্ট, 1969 এর ধারা 194 প্রযোজ্য নয়।

আপীলাত ট্রাইব্যুনালের ফি জমা প্রদানের কোড

কোড নং-1-1135-0010-2681

একনজরে পরিপালনীয় শর্তসমূহ

মামলার ধরণমামলার জন্য অর্থ জমার পরিমাণট্রাইব্যুনালে আপীল মামলা দায়েরের জন্য ফি জমাদানের কোডমামলা নিষ্পত্তির সময়সীমাসংশ্লিষ্ট আইনের ধারাআপীল দায়েরের সময়সীমাযে কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হয়
মূসক বিষয়ক মামলা১) দাবীকৃত করের ২0% জমা প্রদান   ২) কর না থাকলে দন্ডের ২0% জমা প্রদানসংশ্লিষ্ট হাউস/ কমিশনারেট ভিত্তিক একাউন্ট কোড মোতাবেক রাজস্ব খাত/অন্যান্য খাতের অর্থ ট্রেজারীতে জমাদান০২ বৎসরমূল্য সংযোজন কর আইনের ধারা 42আদেশ প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে। বিশেষ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ৬০ দিন বর্ধিত করতে পারবেন।কমিশনার, মহাপরিচালক, কমিশনার (আপীল) বা সমপদমর্যার কর্মকর্তা
কাস্টমস বিষয়ক মামলা১) দাবীকৃত করের ৫0% জমা প্রদান   ২) অর্থদন্ডের ২৫% জমা প্রদান এবং ২৫% তফশিলী ব্যাংক হতে ব্যাংক গ্যারিান্টি বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হার।০২ বৎসরশুল্ক আইনের ধারা 194, 196A, 196B, 196Cআদেশ প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে। বিশেষ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ৬০ দিন বর্ধিত করতে পারবেন।কমিশনার, মহাপরিচালক, কমিশনার (আপীল) বা সমপদমর্যার কর্মকর্তা

যে ক্ষেত্রে ফিস প্রদেয় হবে না

1) কমিশনারের পক্ষ হতে দায়েরকৃত আপীল।

2) প্রতি আপত্তি স্মারকের ক্ষেত্রে (Memorandum of Cross Objection)

3) মূসক মামলার ক্ষেত্রে কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের হলে; অর্থাৎ কমিশনার (আপীল) অথবা আপীলাত ট্রাইব্যুনাল যে কোন স্থানে 10% বা 20% পরিমাণ অর্থ জমা প্রদান করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে আপীল মামলা দায়ের করা যায় না

1) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, 1969 এর 82 এর অধীন নিলাম আদেশের বিরুদ্ধে।

2) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, 1969 এর ধারা 98 এর অধীনে প্রদত্ত কোন বন্ডেড ওয়্যার হাউসে আনীত পণ্য সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে।

৩) মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন সরকারী পাওনা আদায়ের জন্য কোন আটক বা বিক্রয় আদেশের বিরুদ্ধে।

৪) বোর্ড কর্তৃক মূল্য সংযোজন কর আইনের কোন কার্যধারা আরম্ভ করার পর সেই সিদ্ধান্ত বা আদেশের ক্ষেত্রে ।

আপিল মামলা দায়ের করতে যা যা কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপঃ

ক্রমিক নংআপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিবরণ
1.আপিল মেমো/আর্জির কপি;
2.আপিল/আর্জির সফট কপি;
3.ট্রাইব্যুনাল ফি-৩০০/ বা ১২০০/- যার কোড নং-1-1135-0010-2681;
4.কোর্ট ফি ;
5.উকিল নিযুক্তকরণ;
6.01 নং ফরম পূরণ;
7.সকল কাগজপত্রের ফটোকপি -05 (পাঁচ) সেট;
8.10% টাকা জমা প্রদান;
9.কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;
10.মুল বিচার আদেশ এর কপি;
11.জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি;
12.যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

ক্যাটাগরি

© All rights reserved © 2022 AdalatNews

Developed By AdalatNews