গ্রামীনফোন ধোঁকাবাজি আর প্রতারনার আর এক নাম। প্রতিনিয়তই তারা তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারন জনগনকে নতুন নতুন সেবার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে অনভিজ্ঞ বাংলাদেশের সাধারন জনগনের বেশীরভাগই মোবাইল ফোন ও এর ব্যবহার সম্পর্কে ছিল আনাড়ী। আর সেই সুযোগে নান রকম মেসেজ, ফোন কল আর মোবাইল সেবার নাম করে ইতিমধ্যেই দেশের মোবাইল ব্যবহারকারী ৮০ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। উন্নত বিশ্ব যেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট এর দাম এতটাই কমিয়ে নিয়ে এসেছে যে সেখানে এই সেবার খরচ নিয়ে আর তাদের ভাবতে হয়না। সেখানে আমাদের দেশে বলতে গেলে প্রায় একচেটিয়া ভাবে ব্যবসা করে যাওয়া গ্রামীনফোন তাদের কলরেট আর ইন্টারনেট এর দাম কোন ভাবেই কমাতে রাজী নয়। সরকারের বার বার কলরেট কমানো আর ইন্টারনেটের দাম কমানোর চাপ অব্যাহত না থাকলে হয়তো এখনও মানুষকে ৩ থেকে ৪ টাকা কলরেট গুনতে হতো। এখনও সাধারন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে এর আকাশচুম্বী খরচ নিয়ে ভাবতে হয়। রইলো বাকী অফার নিয়ে কথাঃ ”কথায় বলেনা যেই লাউ সেই কদু” এইসব মোবাইল অপারেটরদের এই অফার হলো সেই ”যেই লাউ সেই কদুর অফার”. অর্থাৎ রঙ্গচটা বিজ্ঞাপন আর চাপাবাজীতে এগিয়ে থাকলেও ঘুড়ে ফিরে নানা শর্তের জালে ফেলে আপনার কাছ থেকে একই সেবাকে বার বার জোড় করে গেলানোর চেস্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এত সব কিছু করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করার পরও সরকারের কর ফাকিঁর বেলায় প্রথম অবস্থানেই আছে গ্রামীনফোন।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, গ্রামীন ফোনের কাছে সারচার্জ ও বকেয়া সুদসহ সরকারের বর্তমান পাওনা ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সরকার এই পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। তবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কেননা এতে করে সাধারন জনগনের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। সরকার যদি গ্রামীন ফোনের লাইসেন্স বাতিল করে দেয় তাহলে এর প্রভাব জনগনের উপর পড়বে। যেহেতু সরকারী প্রতিস্ঠান টেলিটক এখনো এতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি তাই যতদিন টেলিটককে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার না করা যায় ততদিন অন্যভাবে এদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার এর চেস্টা চলবে।