1. admin@adalatnews.com : Admin :
  2. juristcommunication@gmail.com : muradjc :
চলন্ত বাসে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ - আদালত নিউজ
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

চলন্ত বাসে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৪৯ Time View
চলন্ত বাসে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ
চলন্ত বাসে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ

বগুড়া থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে ডাকাতি করতে উঠে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এসময় বাসে থাকা আরেক তরুণীকেও দলবেঁধে ধর্ষণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে একটি খালি জায়গায় নামিয়ে দেওয়া হয়। গত ১৪ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি ডাকাত দলের একটি চক্রকে ধরার পর এই তথ্য  জানতে পারে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। ওই বাসে ডাকাতির ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতারের পর তাদের দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেরাই ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ভিকটিমদের খোঁজা হচ্ছে। ভিকটিম পেলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনারতরী নামে একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৫০৫) ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে দুই দফায় ৮-৯ জন ডাকাত সদস্য ওই বাসে ওঠে। বাসটি সাভারের গেন্ডা পৌঁছালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে যাত্রী ও চালকদের জিম্মি করে বাসটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঘুরে টাঙ্গাইলের দিকে যেতে থাকে। পরে তারা সকল যাত্রীদের হাত ও মুখ বেঁধে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। ওই বাসে বাবা-মা সহ এক তরুণী এবং চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আরেক তরুণী বগুড়া থেকে ঢাকায় আসছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা রাতের কোনও এক সময়ে দুই তরুণীকে পেছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণ করে।

গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি ওই বাসের চালক পাবেল বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৩০। তবে মামলার এজাহারে ধর্ষণের বিষয়ে কোনও কথা লেখা ছিল না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ২০ জানুয়ারি আব্দুল্লাহপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী আরেকটি বাসে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা ১৪ জানুয়ারি সোনারতরী পরিবহনের ওই বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সোনারতরী বাসে ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় জাকির ও সুমন নামে দুই ডাকাত সদস্য। তারা গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকা থেকে বাসে উঠে এলেঙ্গা গিয়ে নামে। তাদের সঙ্গে শাহীন, রাসেল, নাইম, আলমগীর, মজিদ, মজিদুলও এলেঙ্গা যায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জ থেকে রফিক নামে আরেক ডাকাত তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেয়। তারা একযোগে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সোনারতরী পরিবহনের সেই বাসে ওঠে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ওই বাসে ডাকাতির ঘটনায় উপস্থিত ছিল এমন ছয় জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। জাকির, সুমন, শাহীন ও কবির নামে চার ডাকাত এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্য রাসেল, নাইম ও রফিক জানিয়েছে, বাসে ডাকাতির এক পর্যায়ে প্রথমে জাকির ওই এক তরুণীকে পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এক পর্যায়ে সুমন, রাসেল, শাহীন ও রফিক ওই তরুণী ও অপর তরুণীকেও পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় বাসে এক তরুণীর বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাদের হাত ও মুখ বেঁধে রাখা হয়। আরেক তরুণীর চাচাতো ভাইও ওই বাসে উপস্থিত ছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তারা ডাকাতি ও ধর্ষণ শেষে তিন নারীকেই একটি ফাঁকা জায়গায় বাস থেকে নামিয়ে দেয়। সড়কে সুবিধাজনক জায়গায় এক এক করে অন্যান্য যাত্রীদের কয়েকজনকেও নামিয়ে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category

ক্যাটাগরি

© All rights reserved © 2022 AdalatNews

Developed By AdalatNews