দেওয়ানী মামলা পরিচালনার নিয়ম নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই একটি পর্বে আলোচনা করেছি। আজ আমরা দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো। আজকের পর্বে সমন ইস্যুর পর বিবাদী উপস্থিত হলে অথবা উপস্থিত না হলে দেওয়ানী মামলার কোন কোন ধাপগুলো অতিক্রম করতে হবে তা নিয়েই আলোচনা করবো।
১ম পর্বের পরেঃ
৪. বিবাদী যদি উপস্থিত হয়ঃ
তাহলে ধাপ ৫ এঃ বিবাদীকে লিখিত বিবৃতি দাখিল করতে হবে।
ধাপ ৬ঃ আদালতের মধ্যস্ততায় সমাধানের চেস্টাঃ
বিবাদী যদি উপস্থিত হয় এবং লিখিত জবাব দাখিল করে তখন আদালত দুই পক্ষের মধ্যে আপোষে বিরোধের নিম্পত্তির চেস্টা করবে। তবে যদি কোন আপোষ না হয় এবং দুই পক্ষ কোন সমাধানে আসতে না পারে তখন পরবর্তী ধাপ অনুসরন করতে হবে।
ধাপ ৭ঃ ইস্যু গঠনঃ
আদালত বিরোধীয় বিষয়ের উপর ইস্যু গঠন করবে বা বিচার্য বিষয় নিধার্রন করবেঃ
ধাপ ৮ঃ ৩০ ধারায় পদক্ষেপ গ্রহনঃ
ইস্যু গঠন এর পরপরই আদালত পক্ষদ্বয়কে ৩০ ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করতে বলবে। অর্থাৎ অত্র মোকদ্দমায় যদি কোন তথ্য, ডকুমেন্টস উপস্থাপনের বিষয় থাকে তা আদালতে উপস্থাপন করবে।
ধাপ ৯ঃ এস ডি বা সেটেলিং ডেট/ বিচারের তারিখ নির্ধারনঃ
এই পর্বে আদালত বিচারের চুড়ান্ত শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারন করবেন।
ধাপ ১০ঃ চুড়ান্ত শুনানীঃ Final Hearing (FH) ঃ
মামলার বিষয়বস্তুর মিমাংসার জন্য আদালত চুড়ান্ত শুনানীর তারিখে বাদী পক্ষের বক্তব্য শুনবেন।
ধাপ ১১ঃ অধিকতর শুনানী/ Further Hearing (FW) ঃ
চুড়ান্ত শুনানীর পরও যদি আরো কোন শুনানীর প্রয়োজন হয় তাহলে আদালত এই শুনানীর জন্য তারিখ রাখবেন।
ধাপ ১২ঃ যুক্তিতর্কঃ
এই স্তরে বিবাদী পক্ষ তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্তাপন করবেন।
ধাপ ১৩ঃ রায় প্রচারঃ
যুক্তিতর্কের পরই আদালত রায় প্রচার করবেন।
ধাপ ১৪ঃ ডিক্রি প্রস্তুতকরনঃ
রায় প্রদান হয়ে গেলে আদালত ডিক্রি প্রস্তুতকরবেন। এবং বিরোধীয় বিষয়ে ডিক্রি দিবেন।
ধাপ ১৫ঃ ডিক্রি জারী মামলাঃ
আদালত কতৃর্ক ডিক্রি প্রদানের পর ও যদি পক্ষগন তাদের বিরোধী সম্পত্তি বুঝে না পান। তাহলে তারা ডিক্রী জারি মামলার মাধ্যমে সম্পত্তির দখল বুঝে নেবেন।
এই ছিল বিবাদী উপস্থিত হলে দেওয়ানী মামলার বিচার কার্য যেভাবে পরিচালিত হবে তার বর্ননা। আগামী পর্বে আমরা বিবাদী অনুপস্থিত হলে কিভাবে দেওয়ানী মামলার বিচার কার্য পরিচালিত হবে তা জানবো।