সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানা এলাকার ব্যারিস্টার আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিক্যাল ফার্মেসির ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জোসনার (৩৫) ছয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ঢাকা এবং সুনামগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির ভাটারা নুরেরচালা এলাকা থেকে ফার্মের মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ (৩০) এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকা থেকে অনজিত চন্দ্র গোপ (৩৮) ও অসীত গোপকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। নিহত শাহনাজ পারভীনের স্বামী ছরকু মিরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন। পরিবারের সব সদস্যরা ওষুধ জিতেশের মালিকানাধীন অভি মেডিক্যাল হল থেকে কেনার সুবাদে তাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহনাজ পারভীন কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে পরামর্শের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল বেলায় জিতেশের ফার্মেসিতে আসেন শাহনাজ পারভীন। পরে তাকে কৌশলে দেরি করাতে থাকে আসামিরা।
পরে ভিকটিমকে চিকিৎসার কথা বলে ঘুমের ওষুধ সেবন করায়। রাত গভীর হলে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে তাকে হত্যা করে।এরপর তার লাশ কেটে ছয় টুকরো করে তারা। ওষুধের কার্টুনে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে ফার্মেসি তালা দিয়ে তারা চলে যায়। পরে খণ্ডিত অংশগুলো মাছের খামারে ফেলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।