ফৌজদারী আদালত অর্থ হলো, অপরাধ সংক্রান্ত বিচার যে আদালত করে তাকেই ফৌজদারী আদালত বলে। বাংলাদেশে দুই ধরনের আদালত রয়েছে ১. ফৌজদারী আদালত (অপরাধ সংক্রান্ত আদালত) ২. দেওয়ানী আদালত (সম্পত্তি সংক্রান্ত আদালত) আজকে আমরা আলোচনা করবো ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কে। এখতিয়ার কি? আইন এবং বিচার ব্যবস্থায় এখতিয়ার অর্থ হলো আদালতের ক্ষমতা বা আদালতের বিচারিক সীমা।
বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ এবং কার্যকর রাখার জন্য আদালতকে কিছু ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা বেধে দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা বা সীমাই হলো এখতিয়ার।
১) দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতঃ
এই দুই আদালত আইনে উল্লেখিত সকল প্রকারের দন্ড প্রদানে সক্ষম। তবে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে হলে উক্ত রায়কে প্রথমেই হাইকোর্ট কতৃর্ক অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়।
২) যুগ্ম দায়রা জজ আদালতঃ
যুগ্ম দায়রা জজ আদালত মৃত্যুদন্ড,যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা দশ বছরের অধিক কারাদন্ড ব্যতীত আইনে উল্লেখিত সকল প্রকার সাজা প্রদানে সক্ষম।
৩) প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ
এই আদালত পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা প্রদানে সক্ষম।
৪) দ্বিতীয় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ
এই আদালত তিন বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং পাচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা প্রদানে সক্ষম।
৫) তৃতীয় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ
এই আদালত দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা প্রদানে সক্ষম।
এই ছিল ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার। আশা করি আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করূন।