নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের লিয়া গ্রামে ভবন মালিককে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৩ জন।
নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের কাজ না পেয়ে মালিককে গুলির ঘটনায় এজাহারনামীয় আরও এক আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ জনে।
গ্রেফতাররা হলো বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের গঙ্গাবর গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে জুবায়ের হোসেন (২৮), একই ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ কাবিলের ছেলে ফরহাদ এবং একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রাসেল।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, শুক্রবার রাতে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার বংশাল থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ঢাকার বংশাল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামি জোবায়েরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বসতঘরের সিলিংয়ের উপর থেকে একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এর আগে, এজাহারনামীয় ৫ নম্বর আসামি রকিকে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলার কবিরহাট উপজেলার চার রাস্তার মোড় এলাকার অজি উল্যার বাড়ি থেকে গ্রেফতার এবং এজাহারনামীয় ছয় নম্বর আসামি সোহেলকে (২২) বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রকি (২৬) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের পুরান করের বাড়ির বাবুলের ছেলে এবং সোহেল উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের শহিদ উল্যার ছেলে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিক রহমত উল্যাকে (৫৮) বুকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দোয়ালিয়া গ্রামের রহমত উল্যা তার বাড়িতে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। ওই ভবনের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের কাজ চান স্থানীয় ঠিকাদার ফরহাদ। কিন্তু তিনি তাকে কাজ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার ফরহাদের নেতৃত্বে তার সহযোগী জোবায়ের, আলমগীর ও রাসেল মঙ্গলবার সকালে নির্মাণাধীন ওই ভবনের সামনে গিয়ে ভবনের মালিকের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় একই দিন দুপুরে ভুক্তভোগীর মেজো ভাই আবদুর রব ছয় জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। র্যাব-১১- এর সদস্যরা ঘটনার দুই দিন পর এজহার নামীয় পাঁচ ও ছয় নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে।