জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে পরিশ্রমী দেশগুলোর একটি। নিজেদের সততা, কাজের প্রতি ভালোবাসা আর সময় বেধে কাজ করা এই দেশটি ইতিমধ্যেই সাড়া বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলোর একটিতে পরিনত হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি আর আধুনিক চিন্তা ভাবনা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো বিশ্ব।নিজেদের কে প্রমান করতে এবার বাংলাদেশকেই চমকে দিল কাজ পাগল এই জাতী।নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই তিন তিনটি ব্রিজের কাজ শেষ করলো আর ৮৪৮৬ কোটি টাকার প্রজেক্ট ৭৭৮৬ কোটি টাকা খরচ করে উল্টো বাকি ৭০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিলো। যা বাংলাদেশের জন্য এক শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ ঢাকা – চট্টগ্রাম রুটে তিনটি সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেতু তিনটি হল কাঁচপুর, গোমতী ও মেঘনা ২য় সেতু।
কাঁচপুর সেতু ৪০০ মিটার সংগে ৭০০ মিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক।মেঘনা সেতু ৯৩০ মিটার সংগে ৮৭০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক। গোমতী সেতু ১৪১০ মিটার সংগে ১০১০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক।সমস্ত কাজগুলির ব্যায় অনুমোদন হয় ৮৪৮৬ কোটি টাকা। এই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য এই তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ পেয়েছিল জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ওবায়শি করপোরেশন, সিমিজু করপোরেশন এবং জে এফ ই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।খুবই দ্রুতগতিতে কাঁচপুর সেতু নির্ধারিত সময়ের নয় মাস আগে আর মেঘনা ও গোমতী সেতু সহ আনুষঙ্গিক সব নির্মাণ কাজ সাত মাস আগে শেষ করেছে।এবং সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৪৮৬ কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ৭৭৮৬ কোটি টাকা।
এর আগে জাপানি তিন কোম্পানির সংগে চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ২৫শে নভেম্বর। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গাড়ি চলাচলের কথা। কিন্তু কাঁচপুর চালু হয়েছে মার্চ মাস থেকে আর মেঘনা গোমতী চালু হবে ২৫শে মে থেকে।